একটা আকাশ ছিলো আমার
নিজস্ব আকাশ ।
যেখানে হাওয়াই মিঠাই এর মতো
মেঘে ভেসে বেড়াতো , পুরো আকাশ জুড়ে।
আমি খুব ছোট বেলায় স্বপ্ন দেখতাম
হাওয়াই জাহাজে চড়ে,
ঐ মেঘের দেশে যাবো।
গোল গোল নানা রঙের
মেঘ নামক হাওয়াই মিঠাই
টুপ টুপ করে গিলে যাবো অবিরাম।
আমি ভাবতাম ,আমি ঐ আকাশ ছুঁয়ে
দেখবো একদিন।
বৃষ্টি হয়ে,ঝরে পড়বো একদিন।
রৌদ্র হয়ে ঝলসে যাবো
ঐ আকাশ চিরে পৃথিবীর বুকে।
কিন্তু ইদানীং আমার আকাশ ঢেকে যাচ্ছে
ধীরে ধীরে.....
না কোনো দুঃখের স্রোতে নয়,
কোনো আবেগের গল্পে নয়।
আমার আকাশ ঢেকে যাচ্ছে
চারদিকে কংক্রিটের বড় বড় দালানে।
যে পুবের আকাশে আমি রোজ সূর্য উদয়
হবার দৃশ্য দেখার সাক্ষী হতাম,
ঠিক সেখানটা ঢেকে গেছে একটা বড় কংক্রিটের জঙ্গলে।
আমার উচ্চতা নিতান্তই কম
কিন্তু ঠিক কতটুকু উচ্চতা হলে আমি ঐ আকাশ
পুনরায় দেখতে পাবো,
খুব করে ভাবি প্রায়শই।
উত্তরের আকাশে আগে আমি তারা খুঁজতাম
রমজান মাসে সেহরির সময়,
এখন সেই আকাশে শুধু ফানুস উড়তে দেখা যায় ,আর ফোটে অসংখ্য আতশবাজি।
দক্ষিণের দিক থেকে যে হাওয়া আসতো
সেখানে একটা পুকুর ছিলো
নানা পদের মাছ ছিলো ,সাপ ছিলো
কি শীতল হাওয়ার একটা ,ছোঁয়া পেতাম রোজ!
ভরাট করে , সেখানে আজ সারি সারি দালান।
বাকি রইলো পশ্চিম দিকের আকাশ এর গল্প,
সেখানে শুধু প্রতিযোগিতা চলছে যেনো!
এ যেনো এক অবাক যুদ্ধ,
নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ও জায়গা
নেই কোথাও যেনো এক বিন্দু।
কে কত বড় বড়, কংক্রিটের দালান
করতে পারে,শহর জুড়ে
দিন থেকে রাত
আর রাত থেকে দিন ,যেনো
এই পরিকল্পনাই চলছে।
আফসোস আমার আকাশটা
মলিন হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
সেখানে আমি শুভ্রতা দেখি না
শুনি না ঝমঝম বৃষ্টির শব্দ।
দেখি শুধু কিছু ক্লান্ত শ্রান্ত শ্রমিক
যারা ইট পাথরের শব্দে
পুরো আকাশ জুড়ে একটা শোক
সৃষ্টি করে চলেছে প্রতিনিয়ত!
নিজস্ব আকাশ ।
যেখানে হাওয়াই মিঠাই এর মতো
মেঘে ভেসে বেড়াতো , পুরো আকাশ জুড়ে।
আমি খুব ছোট বেলায় স্বপ্ন দেখতাম
হাওয়াই জাহাজে চড়ে,
ঐ মেঘের দেশে যাবো।
গোল গোল নানা রঙের
মেঘ নামক হাওয়াই মিঠাই
টুপ টুপ করে গিলে যাবো অবিরাম।
আমি ভাবতাম ,আমি ঐ আকাশ ছুঁয়ে
দেখবো একদিন।
বৃষ্টি হয়ে,ঝরে পড়বো একদিন।
রৌদ্র হয়ে ঝলসে যাবো
ঐ আকাশ চিরে পৃথিবীর বুকে।
কিন্তু ইদানীং আমার আকাশ ঢেকে যাচ্ছে
ধীরে ধীরে.....
না কোনো দুঃখের স্রোতে নয়,
কোনো আবেগের গল্পে নয়।
আমার আকাশ ঢেকে যাচ্ছে
চারদিকে কংক্রিটের বড় বড় দালানে।
যে পুবের আকাশে আমি রোজ সূর্য উদয়
হবার দৃশ্য দেখার সাক্ষী হতাম,
ঠিক সেখানটা ঢেকে গেছে একটা বড় কংক্রিটের জঙ্গলে।
আমার উচ্চতা নিতান্তই কম
কিন্তু ঠিক কতটুকু উচ্চতা হলে আমি ঐ আকাশ
পুনরায় দেখতে পাবো,
খুব করে ভাবি প্রায়শই।
উত্তরের আকাশে আগে আমি তারা খুঁজতাম
রমজান মাসে সেহরির সময়,
এখন সেই আকাশে শুধু ফানুস উড়তে দেখা যায় ,আর ফোটে অসংখ্য আতশবাজি।
দক্ষিণের দিক থেকে যে হাওয়া আসতো
সেখানে একটা পুকুর ছিলো
নানা পদের মাছ ছিলো ,সাপ ছিলো
কি শীতল হাওয়ার একটা ,ছোঁয়া পেতাম রোজ!
ভরাট করে , সেখানে আজ সারি সারি দালান।
বাকি রইলো পশ্চিম দিকের আকাশ এর গল্প,
সেখানে শুধু প্রতিযোগিতা চলছে যেনো!
এ যেনো এক অবাক যুদ্ধ,
নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ও জায়গা
নেই কোথাও যেনো এক বিন্দু।
কে কত বড় বড়, কংক্রিটের দালান
করতে পারে,শহর জুড়ে
দিন থেকে রাত
আর রাত থেকে দিন ,যেনো
এই পরিকল্পনাই চলছে।
আফসোস আমার আকাশটা
মলিন হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
সেখানে আমি শুভ্রতা দেখি না
শুনি না ঝমঝম বৃষ্টির শব্দ।
দেখি শুধু কিছু ক্লান্ত শ্রান্ত শ্রমিক
যারা ইট পাথরের শব্দে
পুরো আকাশ জুড়ে একটা শোক
সৃষ্টি করে চলেছে প্রতিনিয়ত!

No comments:
Post a Comment